রুক্ষ-শুষ্ক ত্বক ও চুল নিয়ে দু:চিন্তায় আছেন? আমন্ড অয়েল এর গুণাগুণ সম্পর্কে জানুন, এটি ব্যবহার করুন আর বিদায় দিন এ ধরণের ত্বকের সমস্যাকে। আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য এর কার্যকারিতা বিশাল! ত্বক এবং চুলের যত্নে আমন্ড অয়েল অনেকটা ম্যাজিকের মতোই কাজ করে। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ত্বক আর চুলের যত্ন নিলে সেটা অনেক বেশি সেইফ ও ইফেক্টিভ।

উৎসাহ আমন্ড হেয়ার অয়েলে কী কী উপাদান আছে?

উৎসাহ আমন্ড হেয়ার অয়েলে আছে- বিশুদ্ধ ও বাছাইকৃত প্রাকৃতিক ১০০% আমন্ড বা কাঠবাদাম তেল যা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, বায়োটিনযুক্ত। এছাড়া এতে আছে মেথি, প্রচুর পরিমানের প্রোটিন, ভিটামিন এ, বি, ডি এবং ই। স্কিন বেনিফিসিয়াল উপাদান থাকায় আপনার ত্বকেও নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, বাজারে প্রাপ্ত অন্যান্য সাধারণ আমন্ড ড্রপ তেলের মতো এতে আমন্ড ড্রপ নয়, পুরো তেলই আমন্ডের।

কোন ধরনের ত্বকে ইউজ করা যাবে? 

উৎসাহ আমন্ড অয়েল (ম্যাসাজ/ হেয়ার) সব টাইপের ত্বকের জন্যই উপযোগী। ড্রাই, ডিহাইড্রেটেড স্কিনের জন্য তো এটা আশীর্বাদস্বরূপ! এছাড়া, হেয়ার অয়েল ম্যাসাজের সময় ছাড়াও হাত ও পায়ের যত্নেও এটা দারুণ কাজ করে। হেয়ার বা ফেইস মাস্কের সাথেও আমন্ড অয়েল দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এটার কোনো সাইড ইফেক্ট নেই, অ্যালার্জি রেকর্ডও পাওয়া যায়নি। ছেলে-মেয়ে সবাই এটা ইউজ করতে পারবে। এমনকি বাচ্চাদের জন্যও সেইফ। টিনএজ থেকে চুলের যত্নে বাদাম তেল ব্যবহার করলে চুল থাকবে মোলায়েম ও সুন্দর।

স্কিনের ক্ষেত্রে আমন্ড অয়েলের ভুমিকা

  • অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারণে এ তেল ত্বকের ভাঁজ কমাতে সাহায্য করে। বয়সের ছাপ পরা রোধ করে।
  • কনুই, ঘাড়, চোখের নিচের কালো দাগ কমাতেও অনেক সাহায্য করে।
  • মেকআপ উঠানোর জন্যও ব্যবহার করা যায়। কিন্তু পরে ভালো করে ক্লেনজিং করতে হবে।
  • সানবার্ন কমাতে সাহায্য করে।
  • ড্রাই স্কিনের জন্য আমন্ড অয়েল অনেক ভালো কাজ করে, রুক্ষতা কমিয়ে আনে।
  • হাত ও পায়ের ত্বকের ময়েশ্চার লক করে সফট ও স্মুথ রাখে।
  • চুলকানি, র‌্যাশ ও ফোলা ভাব কমায়।
  • ত্বকের ভেতরে পুষ্টি জোগান দিয়ে ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জল করে।

চুলের ক্ষেত্রে আমন্ড অয়েলের ভুমিকা

  • আমন্ড অয়েল ম্যাসাজে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। বিশেষ করে মেথিযুক্ত তেল দারুণ কাজে করে।
  • চুলের খুশকি কমাতে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত ব্যবহারে চুল পরা কমে, চুলকে শাইনি এবং সফট করে।
  • চুলের আগা ফাটা রোধ করে ও হেয়ার গ্রোথ বাড়াতে হেল্প করে।
  • যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনেকেই আমরা চুল কালার করে থাকি। যার জন্য চুল অনেক রুক্ষ হয়ে পরে। অয়েলটি ব্যবহারে চুলের রুক্ষতা কমে যায় অর্থাৎ ড্যামেজ রিপেয়ার হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published.

0
X