ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় বাদাম

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চিনা বাদামের রয়েছে নানা রকমের অভূতপূর্ব অবদান। বাদামে থাকা উচ্চমানের প্রোটিন দেহ গঠনে ও মাংশপেশী তৈরিতে সাহায্য করে।

বাদামের মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর উচ্চমাত্রার নিয়াসিন দেহকোষকে সুরক্ষা প্রদান করে, বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধ করে, ব্রেইনকে সুস্থ রাখে ও রক্ত চলাচলে সহায়তা করে।

কোলন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার ও হাটের্র রোগ প্রতিরোধ করে এই বাদাম। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড় গঠনেও সহায়ক। চীনাবাদামে আরও আছে প্রচুর আয়রন। এ উপাদানটি রক্তের লোহিত কণিকার কার্যক্রম বৃদ্ধি করে।

 

চীনাবাদামের ক্যারোটিন ও ভিটামিন-ই ত্বক ও চুল সুন্দর রাখে এবং নারী-পুরুষ উভয়েরই যৌন সক্ষমতা থাকে অটুট।

 

নিয়মিত বাদাম বা বাদাম থেকে তৈরি অন্যান্য খাবার খেলে হার্ট সুস্থ থাকে। যে কোনও ধরণের হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায় এ বাদাম।

 

প্রোটিন সমৃদ্ধ:

বাদামে রয়েছে ২২-৩০ শতাংশ ক্যালোরি। শিশুদের বৃদ্ধির জন্য যে প্রোটিনের প্রয়োজন তা বাদাম থেকে পাওয়া যেতে পারে। বাদামে ৩৫-৪৮% প্রোটিন পাওয়া যায়।

 

যারা শরীরের ওজন কমাতে চাইছেন, তাদের ক্ষেত্রেও অসম্ভব প্রয়োজনীয় এই বাদাম। এতে উপস্থিত উচ্চমাত্রায় প্রোটিন ও অসম্পৃক্ত চর্বি ওজন ঝরানোর পক্ষে যথেষ্ট কাজ করে।

 

তুখোড় ব্রেইনের জন্য প্রয়োজন ভিটামিন বি-১, নিয়াসিন ও ফোলাট, যা বাদামে যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে।

 

বাদামে আরো রয়েছে- ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, যা হাড় শক্ত রাখে।

 

বাদামে থাকা নিয়াসিন, ভিটামিন বি-৩ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চামড়ায় ভাঁজ পড়া আটকায়। এছাড়া, চামড়ার অন্য রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে এটি।

 

বাদামে রয়েছে জিঙ্ক, যা শরীরকে ভিটামিন এ ট্রান্সফারে সাহায্য করে। পরিষ্কার দৃষ্টিশক্তির জন্য এর প্রয়োজন অত্যধিক।

 

বায়োটিনের বড় উৎস হলো বাদাম। বায়োটিন হচ্ছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স-এর সমতুল্য। বায়োটিন ডায়াবেটিস, স্কোরেসিস ও মস্তিষ্কের সূস্থতার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বাদামে পর্যাপ্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্যানসার প্রতিরোধ করে। বাদাম পিত্তথলির পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে।

 

এই বাদামে শতকরা ৮০ ভাগ অসম্পৃক্ত ফ্যাট থাকে যা হৃদযন্ত্রের জন্য খুবই কার্যকরী।

 

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বাদাম। কয়েকটি গবেষণায় প্রমাণিত যে, পানিতে ভিজিয়ে বাদাম খেলে দেহের ভেতরে বিশেষ কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার কারণে দেহের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে পেটের অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের প্রকোপ কমতে থাকে।

 

কোষের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে চীনাবাদাম: চীনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই থাকার কারণে শরীরের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে থাকা কোষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরে যেন কোষের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখে। ফলে বয়স বাড়লেও শরীরে বয়সের তেমন প্রভাব পড়ে না।

 

বাদাম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম। এই ম্যাগনেসিয়াম রক্তের উপস্থিত শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে।

 

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত যারা বাদাম খেয়ে থাকেন তাদের মাঝে শতকরা প্রায় ২৫ থেকে ৩৮ শতাংশ মানুষের টাইপ-২ ডায়াবেটিকস হওয়ার আশংকা কমে গেছে।

 

শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে বাদাম:

 

নিয়মিত নিয়ম করে বাদাম খেলে খিদে কমে যায়। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। সে কারণে শরীরের ওজন স্বাভাবিকভাবেই কমে আসে। এছাড়াও, অতিরিক্ত ক্যালোরি জমে ওজন বৃদ্ধির সম্ভবনা কমে যায়।

 

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে বাদাম:

 

প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব পূরণ করতে নিয়মিত বাদাম খান। কারণ, বাদামে শুধু ডায়াবেটিস নয়, ব্লাড প্রেসারসহ বহু ধরনের রোগের প্রতিকার পাওয়া যায়।

 

খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় বাদাম। বাদামে থাকা বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান শরীরের ভাল কোলেস্টেরলে মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ফলে অটোমেটিকভাবে খারাপ কোলেস্টেরল কমতে থাকে। ফলে হার্টের রোগের ঝুঁকি কমে যায়।

 

শরীরের পুষ্টি ঘাটতি দূর করে বাদাম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একাধিক ক্রনিক রোগকে দূরে রাখতেও দ্বিধা করে না। একমুঠো বাদাম খেলে আপনার শরীরে ১৬১ ক্যালরি প্রবেশ করবে, ফলে বাদাম খেলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার ভয় থাকে না।

 

বাদাম ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি করে। বাদামে এমন কিছু উপাদান আছে, যা কগনিটিভ পাওয়া অর্থ্যাৎ ব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।

 

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।

 

বাদাম থেকে তৈরি বিভিন্ন ধরণের প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন এখানে।

Leave a Comment

Your email address will not be published.

0
X