আমন্ড বা কাঠবাদাম তেলের মধ্যে ভিটামিন-ই, বায়োটিনের মতো অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি সহজেই স্ক্যাল্পের চুলকানি, খুশকির সমস্যা দূর করে। পাশাপাশি চুল পড়ার সমস্যা কমিয়ে দেয় অনেকখানি। আমন্ড তেল চুলের গোড়া মজবুত করে। মূলত: আমন্ড তেল স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার কারণে ধীরে ধীরে চুলের সমস্যা কমে যায়। কিন্তু চুল পড়ার সমস্যা থেকে চিরতরে রেহাই পেতে কোন উপায়ে আমন্ড তেল ব্যবহার করবেন? জানুন বিস্তারিত-

আমন্ড অয়েল
উৎসাহ আমন্ড হেয়ার অয়েল

ক) মালিশ/ম্যাসাজ করুন- সপ্তাহে দুইবার উৎসাহ আমন্ড তেল দিয়ে স্ক্যাল্প ও চুল মালিশ করুন। এক্ষেত্রে, আমন্ড হেয়ার অয়েল হাতের কাছে না থাকলে আমন্ড ম্যাসাজ অয়েল ব্যবহার করুন। চুলে শ্যাম্পু করার কমপক্ষে ৩-৪ ঘণ্টা আগেে আমন্ড তেল মাখুন। আগের দিন রাতেও এ তেল মাখতে পারেন। তেল ব্যবহারের আগে এটা অল্প করে গরম করে নিলে অধিক উপকার পাবেন। আমন্ড তেলের মধ্যে ভিটামিন-ই ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। সুতরাং, এই উপায়ে আমন্ড তেল ব্যবহার করলে চুলের ফলিকল মজবুত হয়, খুশকির সমস্যা কমে যায় এবং চুল অনেক বেশি ঘন ও লম্বা হয়।

খ) আমন্ড তেলের হেয়ারমাস্ক- এজন্য ভেজা মেথি দানা প্রয়োজন হবে। এক চামচ মেথিযুক্ত উৎসাহ আমন্ড তেলের সাথে টকদই কিংবা কলা ও এক চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এবার এই মিশ্রণটি স্ক্যাল্প ও চুলে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন। মেথিও চুলের জন্য দারুণ উপকারী। এই উপায়ে মেথিযুক্ত আমন্ড তেল ব্যবহার করলে আপনি চুল পড়ার সমস্যা কমিয়ে ফেলতে পারবেন, দ্রুততার সাথে।

গ) আমন্ড তেলের সিরাম-  মাথায় তেল মাখা বা হেয়ার মাস্ক বানিয়ে/ লাগিয়ে রাখার মতো হাতে যদি যথেষ্ট সময় না থাকে, তাহলে আমন্ড তেলকে ব্যবহার করুন হেয়ার সিরাম হিসেবে। এজন্য, ২ চা-চামচ অ্যালোভেরা জেল, ৩ ফোঁটা পরিমাণ ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল ও ১ চা-চামচ আমন্ড তেল দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। ব্যস, সহজেই তৈরি হয়ে গেল আপনার আমন্ড তেলের হেয়ার সিরাম। স্নান/ গোসল সেরে এ হেয়ার সিরাম চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে যেমন চুল পড়া দূর হবে, তেমনি ফ্রিজি হেয়ারের সমস্যাও বিদায় নেবে ধীরে ধীরে।

Tags:

Leave a Comment

Your email address will not be published.

0
X