পিনাট বাটারের অনেক উপকারিতা আছে। পিনাট বাটার একটি অন্যতম সুষম খাবার।

বাদাম থেকে তৈরি পিনাট বাটার যতটা পরিচিত, ততটাই স্বাস্থ্য সম্মত। বিশেষত: চিনিবিহীন পিনাট বাটার প্রতিদিন স্বল্প পরিমাণ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এটার চমৎকার সকল স্বাস্থ্য উপকারিতার আছে। নিচে‌ তুলে ধরছি সুস্বাদু এই খাবারটির ৯টি ভিন্ন ভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা-

১. পিনাট বাটারে রয়েছে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এ কারণে দৈনিক স্বল্প পরিমাণ পিনাট বাটার গ্রহণ হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।

২. পিনাট বাটারে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম। স্বল্প পরিমাণ পিনাট বাটার গ্রহণে শরীরে সোডিয়ামের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনে। এছাড়াও, পটাশিয়াম শরীরের পেশীর ক্ষয়পূরণে ও পেশী গঠনে ভূমিকা রাখে।

৩. পিনাট বাটারে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম ও আঁশ রয়েছে। এটি পিনাট বাটারকে একইসাথে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।

৪. পিনাট বাটারে রয়েছে বেশ ভালো পরিমাণ প্রোটিন। ২ টেবিল চামচ পিনাট বাটার থেকে পাওয়া যাবে ৭ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন।

৫. অফিসে কাজের মাঝে ক্লান্তি এসে ভিড় জমালে পিনাট বাটারে এনার্জি পাওয়া সম্ভব। ইন্স্ট্যান্ট শক্তি চাইলে পিনাট বাটার সবচেয়ে ভালো সমাধান। এতে থাকা ফ্যাট ও প্রোটিন তাৎক্ষণিকভাবে এনার্জি প্রদানে সহায়ক।

৬. দৈনিক নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় পিনাট বাটার গ্রহণ কিছু ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও কার্যকরি ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, পিনাট বাটার অন্তত ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ডায়াবেটিস দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাকে কমিয়ে আনে।

৭. এতে আছে বেশ ভালো মানের ভিটামিন-ই। যা শরীরের টক্সিক উপাদানের বিরুদ্ধে এবং আলঝেইমার প্রতিরোধে কাজ করে।

৮. আঁশযুক্ত পিনাট বাটার ঘনঘন ক্ষুধাভাব দেখা দেওয়ার সমস্যা দূর করে/ কমিয়ে আনে। তাই, খাবারটি দীর্ঘসময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখতে চমৎকার কার্যকর।

৯. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে সুস্বাদু এই খাবারটি। এতে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ জিংক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়।

বাজারের প্রাপ্ত পিনাট বাটার কি নিরাপদ?

এটা বলা মুশকিল। প্রথমত পিনাট বাটার ক্রয়ের পূর্বে একটা বিষয়ে আপনি অবশ্যই খেয়াল করবেন-

এটাতে বাদাম তেল ব্যতিত অন্য কোন তেল ব্যবহার করা হয়েছে কিনা? যদিও বেশিরভাগ সময়ে বাটারে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। তাই, পিনাট বাটারে সয়াবিন বা পামওয়েল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকাই ভালো।

আমাদের উৎসাহ পিনাট বাটার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে পিনাট বাটার তৈরি করা হয়। এখানেও আমাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তেল ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। তবে, শীতকালে তেল ব্যবহার করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নিজস্ব আঙিনায় উৎপাদিত অর্গানিক বাদাম তেল ব্যবহার করা হয়।

উৎসাহ বাদাম বাটার/ পিনাট বাটার শতভাগ প্রাকৃতিক ও খাঁটি।