যৌবন ধরে রাখতে এই ৪ বাদাম নিয়মিত খান
একটা বয়সের পর ত্বক তার নমনীয়তা হারাতে থাকে। তবে অল্প বয়সে বার্ধক্যের ছাপ পড়া সত্যিই চিন্তার কারণ।

আজকাল বয়স ত্রিশের কোঠা পেরোতে না পেরোতেই অনেকের চোখে, মুখে ফুটে ওঠে বার্ধক্যের ছাপ। ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে। মুখে বলিরেখাও পড়তে থাকে। ঠিকমতো ত্বকের পরিচর্যা না করার কারণে এই সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়া, অগোছালো জীবনযাত্রা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, মদ্যপানের কারণেও এই সমস্যা দেখা দেয়।

অনেকেই ভাবেন ঘরোয়া টোটকা আর নামী-দামি প্রসাধনী ব্যবহার করলেই বুঝি বয়স বাগে আনা সম্ভব! তবে তার পাশাপাশি ডায়েটেও যে নজর রাখতে হবে। এ বিষয়টি ভুলে যাই আমরা। এমন অনেক বাদাম আছে, যেগুলো ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়া থেকে আটকাতে পারে। জেনে নিন, কোন কোন বাদাম ডায়েটে রাখলেই ত্বক টানটান থাকবে আপনার।

আমন্ড

ভিটামিন ই এর দারুণ উৎস এই আমন্ড। ভিটামিন-ই আমাদের ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে। আর আর্দ্রতা ধরে রাখে, ত্বকের টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে, দারুণভাবে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া এর এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন আমন্ড খেলে ঋতুবন্ধের পর নারীদের ত্বকে বলিরেখার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার সম্ভাবনা বাড়ে অনেকখানি।

যৌবন ধরে রাখতে নিয়মিত খান এই ৪ ধরণের বাদাম
যৌবন ধরে রাখতে নিয়মিত খান এই ৪ ধরণের বাদাম

আখরোট

এই আখরোটে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকের কোষ ঝিল্লিকে শক্তিশালী করে। তাছাড়া, আখরোট পলিফেনলেরও একটি ভালো উৎস। প্রতিদিন এক মুঠো করে খান এই আখরোট বাদাম। ত্বক টানটান থাকবে নিশ্চিতভাবেই।

পেস্তাবাদাম

পেস্তাবাদামে ভরপুর মাত্রায় পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। পেস্তায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। আর ত্বকের কোষের ক্ষয় রোধ করে। ফলে, ত্বক ঝুলিয়ে যাওয়ার প্রবণতা থেকে বাঁচা সম্ভব।

কাজুবাদাম

কাজুবাদামের কার্নেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফাইটোস্টেরল এবং ফাইবার রয়েছে। কাঁচা বাদামে এই পরিমাণটা বেশি থাকে। কাজুবাদামে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদেরকে কার্ডিওভাসকুলার রোগ, মেটাবলিক সিনড্রোম এবং ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই বাদাম মানসিক স্বাস্থ্য এবং হাড়ের ঘনত্ব উন্নত করতে পারে।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

এ ৪ ধরণের বাদাম একত্রে পাওয়া যায়?

বাজারে গ্রোসারি শপসহ বাদামের দোকানে এ বাদামগুলো সহজলভ্য। তবে, এগুলোর কম্বিনেশন যেমন- পেস্ট, বাটার আকারে পাওয়া যায় কাছের দোকানেই। আপনি চাইলে বাজার থেকে এ বাদামগুলো সংগ্রহ করে নির্ধারিত অনুপাতে পেস্ট করে ফ্রিজে রেখে দীর্ঘদিন খেতে পারেন। দিনে এরকম মিক্স পিনাট বাটার/ মিক্স পিনাট পেস্ট ৩০-৩৫ গ্রাম খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

সব ধরণের মিক্স পিনাট বাটার কি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল?

অবশ্যই নয়। বাজারে ভেজাল, পামওয়েল ও কেমিক্যাল মিশ্রিত যে মিক্স পিনাট বাটার পাওয়া যায়, তা স্বাস্থের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আবার বাজার থেকে প্রাপ্ত সরাসরি সংগ্রহ করা খাঁটি বাদামেও থাকতে পারে জীবাণু, পোকামাকড়সহ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি। আমরা সরবরাহ করি স্বয়ংক্রিয় প্রসেস প্লান্ট থেকে প্রসেসিং করা উৎসাহ মিক্স পিনাট বাটার (FDA Standard অনুসরণে প্রস্তুতকৃত)। এতে রয়েছে সঠিক অনুপাতে আখরোট, পেস্তা, কাজুবাদাম ও আমন্ড।

এ বাদাম আপনি কিভাবে খাবেন বা ব্যবহার করবেন:

এ বাদাম খুলে একত্রে সবচেয়ে খাবার ভালো মাধ্যম বা কম্বিনেশন হলো বাটার আকারে খাওয়া। পিনাট বাটার/ মিক্স পিনাট বাটার বা মিক্স নাট বাটার হিসেবে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে, আমন্ড অয়েল, বাদাম তেলও পাশাপাশি খেতে পারেন বা শরীরে ব্যবহার করতে পারেন।

ৎসাহ এ বিষয়ে কি করছে: 

উৎসাহ একটি শতভাগ অর্গানিক এবং পিওর প্রাকৃতিক পণ্য নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠান। যারা গত তিন বছর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে আমন্ড অয়েলের তেল বাদাম তেল এবং এই চারটি বাদামের সমন্বয়ে পিনার বাটার তৈরি করছে।

উৎসাহ এর বিভিন্ন প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন www.utsaho.com/shop

Leave a Comment

Your email address will not be published.

0
X